তারা বলেন, ‘ত্যাগী নেতাদের অব্যাহতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত বিএনপি কার্যালয়ের তালা খোলা হবে না।’
একই সাথে তারা সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত সাবেক এমপি গোলাম মো. সিরাজকে বগুড়ায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
দলের নেতাকর্মীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বগুড়া জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বিএনপির নেতাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক পদ থেকে পরিমল চন্দ্র দাস ও প্রকাশনা সম্পাদকের পদ সহ সদস্য পদ থেকে মেহেদী হাসান হিমুকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে অভিযুক্তরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দলের এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার রাতে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি নেতা আলীমুর রাজি তরুন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুল আলম পিপলু, শহর সভাপতি মাহবুব হাসান লেমন, যুগ্ম সম্পাদক সাইমুম ইসলাম, জাসাস সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন পশারী হিরু, যুবদল নেতা সুমন সরদার,ফারুকুল ইসলাম, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু জাফর জেমস, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।