তিনি বলেন, ‘আজ বিএনপির কী করুণ অবস্থা। নির্বাচনে হেরেছে। এখন দলটির কঠিন অবস্থা। আমরা আগেই বলেছিলাম ২০১৪ সালের নির্বাচন না করে বিএনপি ভুল করেছিল। এবার তারা নির্বাচন করেছে, কিন্তু মনোনয়ন দিয়েছে এক জায়গায় ৩-৪ জনকে, তাও আবার টাকার বিনিময়।’
শনিবার ভোলা শহরের ওবায়দুল হক বিদ্যালয় মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরিব ও দুস্থদের মাঝে জাকাতের শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন দিলে সে কি জিততে পারে? ভোলাতে যিনি প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল তিনি চলে গেলেন ঢাকা। আর যার প্রার্থী হওয়ার কথা না তিনি প্রার্থী হয়ে একটি ইউনিয়নেও যাননি।
‘আমরা মাঠে আছি, মাঠে থাকব এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করব,’ যোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এ সিনিয়র নেতা বলেন, এখন দেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হতে চলেছে। আগে যেমন গরিব মানুষ ছিল, খেতে পরত না। এখন সে অবস্থা নেই। এখন প্রত্যেকে খেতে পারে।
‘আমরা এবার বাজেটে ৯৩ লাখ মানুষকে সামাজিক সুরক্ষা খাতে অন্তর্ভুক্ত করেছি। আমরা মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দেই। বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত, প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন ভাতা দেয়া হয়,’ বলেন তিনি।
তিনি জানান, আগে দরিদ্রের সংখ্যা ছিল শতকরা ৪৪ জন। সে পরিমাণ কমে এখন ২০-২১ জন। এছাড়া অতি দরিদ্রের সংখ্যা শতকরা ১১ জনেরও কম।
নিজের নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন সম্পর্কে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমি ভোলাকে সিঙ্গাপুরের আদলে গড়ে তুলতে চাই। ভোলার শতভাগ মানুষ পল্লি বিদ্যুতের সুবিধা পাবে।’
এ সময় তিনি রাস্তা, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ এবং গ্যাস লাইন স্থাপনসহ ভোলার ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজের বর্ণনা দেন।