তিনি বলেন, ‘যদি দুর্নীতিবাজ, এতিমের অর্থ লুটকারী, খুনি, ২১ আগস্টের হামলাকারী ও ১০ ট্রাক অস্ত্র পাচারকারীরা পুনরায় ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। তারা দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে।’
বৃহস্পতিবার নিজের বাসভবন সুধাসদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গাইবান্ধায় আয়োজিত নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেই সাথে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজার, নড়াইল ও জয়পুরহাটের নির্বাচনী সমাবেশেও বক্তব্য দেন।
বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা গণমানুষের কল্যাণে বিশ্বাস করে না, তারা শুধু লুটপাট, আগুন সন্ত্রাস ও হত্যায় বিশ্বাস করে।’ বাংলাদেশের জনগণ তাদের পুনরায় ক্ষমতায় দেখতে চায় না বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তার দল পুনরায় সন্ত্রাস ও হত্যা দেখতে চায় না, যা বিএনপি-জামায়াত আমলে নিয়মিত কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়েছিল। ‘আমরা চাই না বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা আবার তাদের কুৎসিত চেহারা দেখাক। আমরা উন্নয়নের স্বার্থে দেশে শান্তি বজায় থাকা চাই।’
নড়াইলের জনসভায় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও মনোনয়ন বাণিজ্য করে না। তিনি ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের একসাথে কাজ করার নির্দেশ দেন। ‘ক্ষমতা ধরে রাখতে এবং চলমান উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একসাথে থেকে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করা।’
নির্বাচনী বাণিজ্য করা বিএনপির অভ্যাস দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর ফলে তারা এখন দলীয় অন্তঃকোন্দলের সম্মুখীন...তারা নির্বাচনী প্রার্থী বাছাইয়ে নিলাম করেছে।’
বিএনপি কর্মীরা নিজেদের কার্যালয়ে আগুন দিয়ে অন্য দলের ওপর দায় চাপিয়ে দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি শুনেছেন যে বিএনপির লোকেরা নির্বাচনের দিন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ভোট জালিয়াতির জন্য মুজিব কোট এবং আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ব্যাজ পরবে। ‘আমি আরও শুনেছি তারা ভুয়া ব্যালট পেপার ছাপাচ্ছে... এই অশুভ শক্তি থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে।’