মতিন স্যার হিসেবে পরিচিত এ সাংসদ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি এক ছেলে, চার মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, ঢাকা থেকে ঐক্যফন্টের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানান, ‘মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে উত্তরা রেডিক্যাল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মতিন।’
চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকার চারবারের সাবেক এ এমপি বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।
গত এক সপ্তাহ আগে তিনি ব্রেনস্ট্রোক করেন। পরে তাকে উত্তরা রেডিক্যাল হাসপাতালে সিসিইউতে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার এম এ মতিন মারা যান বলে জানিয়েছেস তার স্বজনরা।
হাজীগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক ইউএনবিকে জানান, সামাজিক দূরত্ব বজা রেখে আজই জাতীয় সংসদ ভবনে, ঢাকায় বিএনপির প্রধান কার্যালয় এবং সবশেষে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এমএ মতিনের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পরে হাজীগঞ্জের টোরাগড় এলাকার পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করার কথা রয়েছে।
প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে গভীর শোক ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং চাঁদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।