তিনি বলেন, তারা (সরকার) ২০১৪ সালের মতো সব বিরোধী দলগুলোকে বাইরে রেখে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় আসার পায়তারা করছে।
শুক্রবার জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতাকর্মীদের নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
‘দেশের জনগণ কোনোভাবেই একতরফা নির্বাচন মেনে নেবে না’ উল্লেখ করে ফখরুল সতর্ক করে বলেন, জনগণের ভোটসহ অন্যান্য অধিকার এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তারা ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আজকে শুধু বিএনপির নেতাকর্মী নয়, যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছেন তাদেরও সরকার গ্রেপ্তার করছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের (সরকারের) পরিকল্পনা অনুযায়ী, সব গণতান্ত্রিক কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে এবং কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে দেশে একদলীয় শাসন প্রবর্তন করা। সেই লক্ষ্যেই তারা চলছে।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, এই কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, দলকে আরও শক্তিশালী করতে ২০০৭ সালে ১/১১ সরকারের সময় ‘সংস্কারপন্থী’ হিসেবে পরিচিত দলের সাবেক এমপি ও নেতাদের সক্রিয় করার জন্য তারা এখন কাজ করছেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী হচ্ছে। সেজন্য যারা দলের বাইরে ছিল, নিষ্ক্রিয় ছিল তাদের সবাইকে সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দলের চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে ১২ জন ‘সংস্কারপন্থী’ সাবেক বিএনপি সাংসদদের সাথে বৈঠক করেন ফখরুল।