তিনি বলেন, ‘জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই বিএনপি অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
সচিবালয়ে সাংবাদিকদদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বার্থে, বাংলাদেশের অর্থনীতির স্বার্থে অনেকগুলো সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি করেছেন। প্রতিটি চুক্তি কিংবা সমঝোতা স্মারক, বাংলাদেশের স্বার্থ শুধু সংরক্ষণ নয় বরং ভারতের কাছ থেকে আমরা স্বার্থ আদায় করেছি।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ভারত বিরোধীতা, সেটিকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। বিএনপির এই পুরনো ভারত বিরোধীতার যে ট্যাবলেট, এই ট্যাবলেট আর কাজ করবে না।
ফেনী নদীর পানি দেয়া নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, এখনও যে তারা (ভারত) পানি নেয় না, তা নয়। এখন বরং সেটিকে একটি ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে আনা হয়েছে। এতদিন সেখান থেকে পানি অবৈধ উত্তোলন হতো। এগুলি সবই অর্থনীতির স্বার্থে করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর সমৃদ্ধ দেশ হয়েছে, মূলত সিঙ্গাপুর বন্দরকে পৃথিবীর দেশগুলোর জন্য খুলে দেয়ার কারণে। এখন যদি ভারত চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে আমাদেরকে তো রয়েলিটি দিতে হবে। তাদের জাহাজে যতগুলো পণ্য আসবে সেটার জন্য রয়েলিটি দিতে হবে।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপির বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘রিজভী সাহেবরাতো প্রতিনিয়তই বলেন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য খুব খারাপ। হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার না রিজভী সাহেবরা এটা বুঝা মুশকিল। রিজভী সাহেবদের কথায় মনে হয় উনারাই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। ওনারা কিছুদিন পর পর বলেন যে, খালেদা জিয়ার অবস্থা খুব খারাপ।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার কিছু সমস্যা আছে যেগুলো খুব পুরনো এবং সেগুলো বয়স বাড়ার কারণে হয়। সেজন্য তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের মতো জায়গায় রাখা হয়েছে। যেটি দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা বিদ্যাপীঠ এবং দেশের বড় বড় চিকিৎসকরা সেটির সাথে সংযুক্ত। সুতরাং এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা তারা সবসময় করে আসছে। রিজভী সাহেবের বক্তব্য সেটার ধারাবাহিকতা ছাড়া আর অন্য কিছু নয়।