এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি দেশের ভালোর জন্য নিজের মতামত প্রকাশ করায় নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের সম্মানে এ দিনটিকে ‘শহীদ আবরার দিবস’ হিসেবে পালনের দাবি জানান।
‘আমি মনে করি ভারতকে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে দেয়া এবং উপকূল নজরদারি ব্যবস্থার সুযোগ দেয়া আর দেশের সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে দেয়া সমান কথা,’ বলেন বিএনপি নেতা।
ত্রিপুরার সাব্রুম শহরের জন্য ভারত সরকারের সাথে ফেনী নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের যে চুক্তি হয়েছে তার বিরোধীতা করে মওদুদ বলেন, এর ফলে বাংলাদেশ শুষ্ক মৌসুমে পানির কষ্টে থাকবে।
বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার প্রতিবাদ ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এসময় দেশজুড়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ টর্চার সেল গড়ে তুলে সেগুলোতে ভিন্নমতাবলম্বীদের নির্যাতন করে বলে অভিযোগ করেন মওদুদ।
‘দেশের প্রতিটি হল ও হোস্টেলগুলোতে তাদের (ছাত্রলীগ) টর্চার সেল রয়েছে যেখানে তার বিরোধী দল ও ভিন্নমতাবলম্বীদের নির্যাতন করে। শের-ই-বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে এমনভাবেই পাঁচ ঘণ্টা ধরে নির্যাতনের কারণে আবরার ফাহাদ মারা যায়,’ বলেন তিনি।
বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের শিক্ষার্থী আবরারকে (২১) ফেসবুকে ভারতের সাথে করা কিছু চুক্তির বিরোধীতা করে পোস্ট দেয়ার অপরাধে রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করে।
মওদুদ বলেন, ছাত্রলীগের এ রকম বিধ্বংসী কাজই প্রমাণ করে দেশে কোনো সরকার নেই।
‘জনগণ বর্তমান সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা চায় দেশ থেকে সকল নৈরাজ্য দূর করে আইনের শাসন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও শান্তি আসুক,’ তিনি উল্লেখ করেন।
বিএনপির এ নেতা দেশের বর্তমান অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সরকার দেশে আইন প্রয়োগে বৈষম্য তৈরি করছে দাবি করে তিনি বলেন, যেখানে যুবলীগের নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেপ্তারের দুই দিন পরে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয় সেখানে তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় ধরে সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না।
‘তাকে অবহেলা করে পিজি হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) একটি ছোট ক্যাবিনে রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে খালেদা জিয়াকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করতে হবে।