দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে মিয়ানমারও বাংলাদেশকে নিয়ে দুঃসাহস দেখানোর স্পর্ধা পাচ্ছে। তারা বারবার সরকারিভাবে তাদের ওয়েবসাইটে সে দেশের মানচিত্রে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে নিজের অংশ হিসেবে দেখাচ্ছে।’
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের এমন আচরণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত।
তিনি বলেন, মিয়ানমার একবার না কয়েকবার একই ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই শুধু দূতকে ডেকে প্রতিবাদ করলেই সব শেষ হয়ে যায় না। ‘অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা মাঝরাতের ভোটের এ সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ক্রমাগত ব্যর্থ হচ্ছে।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, সেন্ট মার্টিনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালোভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। গত বছরের অক্টোবর মাসেও মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়সহ সে দেশের অন্তত তিনটি ওয়েবসাইটের মানচিত্রে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে তাদের দেশের অংশ হিসাবে দেখানো হয়। ‘তখনও এ গণবিচ্ছিন্ন সরকার কেবল নামকাওয়াস্তে প্রতিবাদ করে চুপ হয়ে যায়।’
‘এ সরকার স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব হেফাজত করতে ব্যর্থ হচ্ছে, কারণ তারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। দেশ ও মানুষের প্রতি তাদের ন্যুনতম দায়বদ্ধতা নেই। রাতের অন্ধকারে কাপুরুষের মতো জনগণের ভোট ডাকাতি করে তারা মসনদ দখল করেছে,’ যোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের ‘নতজানু’ পররাষ্ট্রনীতির কারণে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান হচ্ছে না বলে দাবি করেন রিজভী।
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে বিজিবি ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ২৭২ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে বিজিবির মামলা করার সমালোচনা করেন বিএনপির এ নেতা।
‘একটি মামলার এজাহারে বিজিবির গুলিতে নিহত শিক্ষক নবাব আলী ও কৃষক সাদেক আলী নামও রয়েছে। ভয়ে আতঙ্কে এখন পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে এলাকা। সীমান্ত পাহারা দেয়ার কাজ বিজিবির। কিন্তু তারা সীমান্ত পাহারা না দিয়ে বিএসএফের মতোই বাংলাদেশিদের হত্যা করছে,’ বলেন তিনি।
রিজভীর আরও অভিযোগ, মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের যেন সরকারের প্রধান কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে।