হামলায় প্রায় ৬০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে সেগুনবাগিচার কাঁচাবাজার সংলগ্ন রাস্তায় পৌঁছালে ৩০/৪০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা করে। হামলাকারীদের হাতে লাঠি, লোহার রড, চাপাতি ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
হামলার শিকারের পর দুপুরে মির্জা আব্বাস তার শাজাহানপুরস্থ বাসভবনে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আরও বলেন, আমাদের নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রচারণার কার্যক্রমে আওয়ামী লীগ এভাবে সহিংস আক্রমণ চালাবে আমি ভাবতেও পারিনি।
তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা কার্যক্রমে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করেছে। অন্যদিকে আহত নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এসময় আহত বেশ কয়েকজনের নাম বলেন তিনি। তারা হলেন- শ্রমিক দল নেতা আওয়াল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবুল কালাম, শাহাদাত হোসেন, নুর আলম, মোঃ রানা, মহিলা দল নেত্রী জাহানারা বেগম, বিলকিস, মনি, রাশিদা, নিরাপত্তারক্ষী কফিল উদ্দিন, জাহিদ হোসেন, আলম, আবদুস সালাম, ছাত্রদল নাদিয়া পাঠান পাপন, বিএনপি নেতা মানিক, যুবদল নেতা ইমন, শওকত আলী স্বপন, মিজান, আলীমুদ্দিন প্রমুখ।
মির্জা আব্বাস বলেন, তাদের অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশি আতঙ্কের কারণে হাসপাতালেও চিকিৎসা করাতে পারছি না।
মির্জা আব্বাস বলেন, সরকার বলছে বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে কি না, আসলে আমাদেরকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে রাখবে কিনা সেটাই প্রশ্ন। আমরা নির্বাচন করতে পারবো কিনা এ বিষয়ে দেশের জনগণের মাঝে সন্দেহ রয়েছে। আসলে সরকার কি চায়? বিএনপিকে নির্বাচন করতে আদৌ দেবে কি দেবে না এই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার সময় সরকার বলেছিল, বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে নতুন কোনো মামলা হবে না এবং পুরাতন মামলায় গ্রেপ্তার করা হবে না। এই বক্তব্যের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। প্রতিদিন নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, নতুন নতুন গায়েবি মামলা দেয়া হচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। পালানোর সুযোগ আমাদের নেই। আজ আমার ওপর হামলা হয়েছে, চার দিন আগে ঢাকা-৯ নির্বাচনী আসনের ধানের শীষের প্রার্থী, আমার সহধর্মীনি আফরোজা আব্বাসের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু হামলা মামলা যতই হোক নির্বাচনের মাঠ আমরা ছাড়বো না।