দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দাবি, নির্বাচন বানচাল করার জন্য বিএনপির সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে দলটির নেতা-কর্মীরা ‘বিনা উসকানিতে’ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপির নেতা-কর্মী) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিনা উসকানিতে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে…. এর মাধ্যমে আবারও তারা নিজেদের বীরত্ব প্রকাশ করেছে। পুলিশের ওপর হামলার মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে।’
বুধবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কাদের আরও বলেন, ‘নির্বাচন পেছানোর দাবিতে নয়, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিএনপি এই হামলায় উসকানি দিয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আজকের ঘটনায় প্রকাশ হয়েছে যে, নির্বাচনে যোগ দেয়া নয়, জনপ্রিয় শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটানোই বিএনপির উদ্দেশ্য।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের আরও বলেন, বিএনপির হামলায় পুলিশের দু’টি ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়, নয়াপল্টনে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলার সময় ১৩ জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন।
আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে, বুধবার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়ক থেকে জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস কয়েকশ’ নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। এসময় তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া নিয়ে পুলিশের সাথে নেতা-কর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে উভয়পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এসময় পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিএনপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা নয়াপল্টনের সড়কে পুলিশের পার্কিং করে রাখা একটি ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়।