বিকালে তারা হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই জামিন দেন।
জামিনপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
তদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তাদেরকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন।
পরে সগীর হোসেন লিওন জানান, বিএনপির চার নেতাকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট এবং আট সপ্তাহ পরে তাদেরকে ঢাকার সেশন জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মোট ৬ জনের জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং হাবীব উন নবী খান সোহেল হাইকোর্টে হাজির হতে পারেননি। তাই তাদের আবেদনের শুনানি হয়নি।
রাজধানীতে হাইকোর্টের সামনে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনায় ওইদিন রাতেই দলটির ৫০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
শাহবাগ থানার এসআই মতিউর রহমান ২০-২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪৭৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি করেছেন বলে থানার পরিদর্শক আরিফুর রহমান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, কারাবন্দী চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার হাইকোর্টের সামনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হন। এসময় বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করে বিএনপির কর্মীরা।