আগামী ১১ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত তিনি জামিনে থাকবেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার করা রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম। শুনানিতে আদালতে হাজির করা হয় এই বিএনপি নেতাকে।
এর আগে দুপুরে, মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার উপপরিদর্শক নূরে আলম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে হাফিজের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এ জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন।
শনিবার রাতে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরার পর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হাফিজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, শনিবার (১২ অক্টোবর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে যে, গত ২ মে দুপুর ১১টা ৫৭ মিনিটের দিকে কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ইসহাক মিয়ান (৬৩) তার মিরপুরের বাসা থেকে তার ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করে একটি খুদে বার্তা পাঠান। পরে কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ইসহাক মিয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এই কাজে মেজর হাফিজ উদ্দিন এবং ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেনসহ অনেকেই জড়িত রয়েছেন। বিষয়টি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ বলে জানায় পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, পুলিশসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার ভূমিকা সম্পর্কে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য ইমেইলে তিনি পাঠান। তার ওই কাজে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে দেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে। আসামির এমন কার্যকলাপ সামরিক বাহিনীতে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার হীন প্রচেষ্টা।
সরকারি সংস্থার ভূমিকা সম্পর্কে মেইলে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য আদান প্রদানের অভিযোগে দুপুরে তাদের নামে মামলা হয়। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে মেজর হাফিজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পল্লবী থানায় হস্তান্তর করা হয়।