বুধবার রায় ঘোষণার পরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই হামলার মূল হোতা ও মূল পরিকল্পনাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিৎ ছিল।’
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মনে করেন, খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই এ হামলার মূল হোতা। হামলার আসামিদের জবানবন্দীতেও উঠে আসে তারেকের নাম।
রায়ের আওয়ামী লীগ খুশি হয়েছে কি না জানতে চাওয়া হলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, ‘বিলম্বিত হলেও আমরা অখুশি নই, আবার খুশিও নই।
এর আগে, বুধবার সকালে ১৪ বছর আগে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সভাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ওই হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান।
এছাড়াও অল্পের জন্য বেঁচে যান বতর্মান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তবে গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে তার শ্রবণশক্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ হামলায় আ’লীগের তিন শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।