শনিবার দুপুরে মেঘনা উপজেলার লক্ষণখোলা গ্রামে তিনি হামলার শিকার হন। এসময় হামলাকারীরা তার ব্যবহৃত একটি নোয়া মাইক্রোসহ কয়েকটি প্রাইভেটকারও ভাঙচুর করেছে।
স্থানীয় বিএনপি এই হামলার জন্য যুবলীগ দায়ী করেছে। তবে যুবলীগ হামলার কথা অস্বীকার করেছে।
রমিজ উদ্দিন লন্ডনীর গাড়ীতে থাকা জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাবুদ্দিন বলেন, শনিবার দুপুরে নিজ বাড়ি মেঘনা উপজেলার মুগারচর গ্রাম থেকে মেঘনা উপজেলা সদরে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে যাওয়ার পথে লক্ষণ খোলা গ্রামের উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মুজিবের বাড়ির সামনে এলে মুজিবের নেতৃত্বে রামদা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একদল দৃর্বৃত্ত তাদের বহন করা গাড়িতে হামলা করে।
এ সময় হামলাকারীরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি রমিজ উদ্দিনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে যায়। এ ঘটনায় মেঘনা বিএনপি নেতা অহিদ, জাহাঙ্গীরও গুরুতর আহত হয়, বলেন তিনি।
হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল হোসেন জানান, রমিজ উদ্দিন লন্ডনীর অবস্থা আশংকাজন হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
যুবলীগ নেতা মুজিবুর রহমান হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, তার নেতৃত্বে বা কোনো যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের লোকজনই বিএনপি নেতকর্মীদের ওপর হামলা করেনি।
তিনি বলেন, বিএনপির দলীয় কোন্দলে যদি কিছু হয়ে থাকে সেটি আমাদের জানা নেই।
মেঘনা থানার ওসি মো. আবদুল মজিদ বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মাঝে কথা কাঁটাকাটির এক পর্যায়ে মো. রমিজ উদ্দিন লন্ডনীর ওপর হামলা করা হয়। তবে এই ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ করেনি বিএনপি।