তিনি বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধী বা তাদের স্বজন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিতদের স্ত্রী বা স্বজন এবং দুর্নীতিবাজদের তারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বানাতে চায়। কিন্তু জাতি তা আশা করে না।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জনগণ তা কখনো মেনে নিতে পারবে না। আমি মনে করি এবিষয়ে তাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত যাতে এসব অপরাধীরা কখনো ভোট না পায়। তাদের পক্ষে কখনো ভোট না দিতে আমি জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই।’
তিনি প্রশ্ন করেন- বিএনপিতে কি যোগ্য লোক ছিল না, তারা কি অপরাধী ছাড়া যোগ্য লোক খুঁজে পায়নি নাকি দলটি অপরাধকে ‘যোগ্যতা’ হিসেবে বিবেচনা করে।
মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তাদের মন্ত্রী বানিয়েছিল। পরে তারা মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত হয়েছেন এবং তাদের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করা হয়েছে।
‘এটা জাতির জন্য লজ্জার যে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পতাকা তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছিল,’ বলে তিনি আরও বলেন, বিএনপির হয়তো কোনো লজ্জা নেই।
যুদ্ধাপরাধী ও দুর্নীতিবাজদের সাথে হাত মেলানোর জন্য ড. কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না ও সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন যে তারা লজ্জিত কিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি তার দলের নেতাকর্মীদের যুদ্ধাপরাধী ও দুর্নীতিবাজদের সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার আহ্বান জানান যাতে তারা আসন্ন ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে তাদের পক্ষে ভোট না দেয়।
একজন টিভি সাংবাদিককে ড. কামাল হোসেনের দমক দেয়া প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনি খামোশ বললেই কী জনগণ চুপ হবে? জনগণ চুপ হবে না।’
যেখানে যুদ্ধাপরাধীদের স্বজনরা ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন সেখানে ড. কামাল হোসেনরা কীভাবে একই প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।