জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। রানার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, মনসরুল হক চৌধুরী ও সাঈদ আহমেদ রাজা।
রায়ের পর সাঈদ আহমেদ জানান, হাইকোর্ট রানাকে জামিন দিয়েছিল। পরে চেম্বার আদালত তা স্থগিত করে। আপিল বিভাগ আজ সে স্থগিতাদেশ চলমান রেখেছে।
যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় গত ৬ মার্চ হাইকোর্ট রানাকে ছয় মাসের জামিন দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ১৪ মার্চ জামিন স্থগিত করেন।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় পর দিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে।
মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরণ মিয়া হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা সংসদ সদস্য রানার দিকনির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেন।
সাবেক সংসদ সদস্য রানা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলারও আসামি।