অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৬ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. মনির কামাল এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সোহেল চৌকিদার, এমারত চৌকিদার, আওলাদ চৌকিদার, মো. বাঁধন, রনি কাজী, রাজা খাঁ এবং মাসুদ তালুকদার।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে তাদের আরও দুই মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রাজা খাঁ বাদে অপর আসামিরা পলাতক রয়েছেন। পলাতকদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন-রনি সিকদার ওরফে কানা রনি, জসীম ওরফে চৌরা জসিম, মুক্তার হাওলাদার, আমজাদ হোসেন, জহুরুল কাজী, শাহীন চৌকিদার, সাব্বির শেখ, শাকিল শেখ, রাসেল হাওলাদার, মিঠু হাওলাদার (মিঠু), জুয়েল মোল্লা, সেতু মোল্লা, রুবেল মৃধা, ভুট্টু চৌকিদার, বাবু খাঁ ও রিমন খাঁ।
খালাসপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রথম আটজন পলাতক। বাকি আটজন আদালতে হাজির ছিলেন। খালাস পাওয়া হাজতী আসামিদের অন্য কোনো মামলায় প্রয়োজন না হলে তাদের মুক্তির আদেশ দেয় আদালত।
আর খালাসপ্রাপ্ত পলাতকদের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রিকল করার আদেশ দেয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৬ মার্চ মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানার আলামিন বাজারে খুন হন শাহীন। তিনি স্থানীয় যুবলীগের নেতা ছিলেন। সেদিন ঢাকা থেকে আরাম পরিবহনে করে শ্রীনগরের আসছিলেন। তখন আসামিরা পিস্তল, রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে বাসটি ঘিরে ফেলেন। বাসে উঠে আসামিরা শাহীনকে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় শাহীনের ফুফু কানন বেগম বাদী হয়ে ২৩ জনের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় হত্যা মামলা করেন।
শ্রীনগর থানার পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২৬ জুন ২২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০১৮ সালের ৭ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের ২৯ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষী নেয়া হয়।
এদিকে রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে মামলার বাদীপক্ষ। বাদী কানন বেগম বলেন, ‘বিনা কারণে আমার ভাইপো শাহীনকে আসামিরা গুলি করে হত্যা করে। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করবো।’