মঙ্গলবার দুপুর ২টা ২৮ মিনিটের দিকে রংপুর শহরের কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠেয় জানাজায় হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করে।
এসময় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঈদগাহ মাঠে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত ছিল।
রংপুরের গণমানুষের আবেগ ও ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এরশাদকে রংপুরেই দাফন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পার্টি। এতে সম্মতি জানিয়েছেন তার স্ত্রী রওশন এরশাদও।
এর আগে জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতারা এরশাদকে ঢাকার সামরিক কবরস্থানে দাফনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে জাতীয় পার্টি রংপুর শাখা তাদের প্রিয় নেতাকে এরশাদের গ্রামের বাড়ি পল্লীনিবাসে দাফনের ঘোষণা দেয়।
কোনোভাবেই তাকে রাজধানীতে দাফন করতে দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেয় রংপুরের নেতা-কর্মীরা। গতকাল সোমবার পল্লীনিবাসের লিচু বাগানে এরশাদের জন্য কবর খুঁড়ে প্রস্তুত করেও রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগে এরশাদের কফিন ঢাকা তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে রংপুরে নেয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় পার্টির প্রধানকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রংপুর সেনানিবাসে পৌঁছায়।
এরশাদের কফিনের সাথে তার ছোট ভাই জিএম কাদের, ছেলে রাহগির আল মাহি শাদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু ছিলেন।
৮৯ বছর বয়সী সাবেক সেনাশাসক ও পাঁচবারের সাংসদ এরশাদ দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গত ২৬ জুন শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। গত ৪ জুলাই থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। রবিবার সকালে সাবেক স্বৈরশাসক এরশাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
একই দিন বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে এরশাদের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। সোমবার সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এরশাদের দ্বিতীয় ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তৃতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়।
বুধবার ঢাকার গুলশানের আজাদ মসজিদে এরশাদের কুলখানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।