বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সন্ত্রাসের ব্যধিতে আক্রান্ত বাংলাদেশ। সন্ত্রাসী হামলায় যেকোনো মানুষের মৃত্যুকেই বিএনপি ঘৃণ্য কাজ বলে মনে করে। আমি মনে করি, বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী দায়িত্বরত ব্যক্তিদের ওপর এটি একটি সুপরিকল্পিত আক্রমণ। আমি এই হতাহতে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
এক বিবৃতিতে সরকারকে এই সন্ত্রাসী ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করতে এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থার করতে জোর দাবি জানান তিনি।
সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে বাঘাইছড়ি উপজেলায় নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িবহরে গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। এতে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ অন্তত সাতজন নিহত এবং ১৩ জন আহত হন।
ফখরুল বলেন, ভোটারবিহীন উপজেলা নির্বাচনে দখলদারিত্ব নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা নিজেরাই খুনখারাপীতে লিপ্ত হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মধ্যরাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়ায় উদ্বুদ্ধ হয়েছেন স্থানীয় পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা।’
বিএনপি নেতা বলেন, জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নেই বলেই ক্ষমতাসীন নেতারা স্থানীয় ক্ষমতা দখল করতে হিংসা-প্রতিহিংসার প্রতিযোগিতায় রক্ত ঝরাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, হিংসা-বিদ্বেষ ক্ষমতাসীনদের রাজনীতির কর্মসূচি হওয়ার কারণে প্রায় প্রতিদিনই মানুষ হত্যার মতো নারকীয় ঘটনা ঘটছে।
ফখরুল দাবি করেন, সোমবার দ্বিতীয় দফা ‘একতরফা’ উপজেলা নির্বাচনে জনগণ কোনো সাড়া দেয়নি। কারণ বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনকে জনগণ বিশ্বাসযোগ্য মনে করে না।
‘এই সরকার জনগণের আস্থা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। বিরোধীদলহীন একদলীয় শাসনই এই সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকার একমাত্র ভরসা,’ বলেন তিনি।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার দেশকে বিরোধীদলহীন করার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে যত্রতত্রভাবে ব্যবহার করছে। ‘সরকার হুমকি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।’
তিনি রাঙ্গামাটিতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।