তিনি বলেন, ‘সরকার শুধু বিচার বিভাগেই নয়, গণমাধ্যমসহ রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করছে। সংসদের স্পিকারও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছেন না।’
শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রের তিন অঙ্গ- বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও শাসন বিভাগে এখন নোংরা অবস্থা। এমন কোনো রাষ্ট্রীয় অঙ্গ নেই, যেখানে হস্তক্ষেপ হয়নি। এমনকি সুশীল সমাজের ওপরও নগ্ন হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘সুশীল সমাজের সদস্যরা এখন খুন, গুম ও নির্যাতনের কথা বলতে ভয় পায়। কারণ কথা বললেই তাদের ওপর জেল-জুলুম করা হয়।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু বলেন, জনগণের কাছে এখন পরিষ্কার হয়েছে যে বর্তমান ‘অনির্বাচিত’ সরকারের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে খালেদা জিয়াকে অযৌক্তিকভাবে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, জামিনযোগ্য মামলায় তাদের চেয়ারপার্সন জামিন না পেলেও এসব মামলার অন্য অভিযুক্তরা জামিনে রয়েছেন। ‘এর চেয়ে বড় হস্তক্ষেপ আর কী হতে পারে? অনেক মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায় তারা বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করছেন না। তারা এটা (হস্তক্ষেপ) করছেন বলেই নিজেদের রক্ষার জন্য বারবার তা বলছেন।’