দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘পুরান ঢাকা আবাসিক এলাকা। সেখান থেকে সব রাসায়নিকের গুদাম ও দোকান অবিলম্বে স্থানান্তর করতে হবে। রাসায়নিক পদার্থের ব্যবসা ও গুদামজাতের জন্য শিগগিরই আলাদা জায়গা বরাদ্দ দিতে হবে।’
তা না হলে চকবাজারের চুড়িহাট্টার মতো দুর্ঘটনা পুরান ঢাকার যেকোনো জায়গায় পুনরায় ঘটতে পারে বলে সতর্ক করে দেন তিনি। ‘আমরা এ ধরনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা আর দেখতে চাই না।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার রচিত দুটি গ্রন্থ নিয়ে আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ এসব কথা বলেন।
২০১০ সালে নিমতলীর আগুনে ১২৪ জন মারা যাওয়ার পরও পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক পদার্থের ব্যবসা ও গুদাম সরিয়ে নিতে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।
‘চুড়িহাট্টার আগুনের পর পুলিশ ও উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন তারা শত শত ড্রাম বিস্ফোরক ও রাসায়নিক পদার্থ পেয়েছেন। এই যদি হয় ঘটনা, তাহলে নিমতলী ট্র্যাজেডির পর গত নয় বছরে সরকার কী করেছে? তারা (সরকার) অনেক কিছু নিয়ে কথা বলে কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন করে না,’ যোগ করেন বিএনপির এ নেতা।
তিনি নিমতলী ট্র্যাজেডির পর গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন না করায় সরকারকে এক হাত নেন।
উল্লেখ, পুরান ঢাকার চকবাজারে বুধবার রাতে রাসায়নিকের গুদাম ও পাশের চার ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬৭ জনের মৃত্যু হয়। সেই সাথে আহত হন প্রায় ৪১ ব্যক্তি।