বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার গোপলার বাজার ফাঁড়ির একদল পুলিশ জালালসাপ গ্রামে রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে যায়। বাড়িতে অবস্থানরত লোকজন তল্লাশির কারণ জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, একটি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি ওই বাড়িতে লুকিয়ে আছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে এসেছে তারা। পরে জনতার প্রতিরোধের মুখে সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয় পুলিশ।
অপরদিকে ছোট ভাকৈর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে রেজা কিবরিয়ার গাড়িবহরে থাকা ৪০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ ।
রেজা কিবরিয়ার একান্ত সহকারী সোহরাব হোসেন মাহদি ও শাহবুদ্দিন শুভ জানান, তারা বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এসময় হঠাৎ একদল পুলিশ এসে বাড়িতে তল্লাশি চালায়। পুলিশ আসামি খোজার নাম করে বাড়ির বিভিন্ন জিনিসপত্র তছনছ করতে থাকে।
ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, আমি ঘটনার সময় গণসংযোগে ছিলাম। বাড়ির লোকজন পুলিশের কাছে সার্চ ওয়ারেন্ট আছে কি না জানতে চাইলে পুলিশ তা দেখাতে পারেনি। তিনি বলেন, পুলিশ ভোটার ও কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য তল্লাশির নামে বাড়িঘর তছনছ করেছে। এটা হয়রানি । এতে স্থানীয় জনগণ ক্ষুব্দ হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে।
নবীগঞ্জ থানার ওসি ইকবাল জানান, পরোয়ানাভুক্ত আসামি মুজিবুর রহমান সেফু রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছেন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। তখন মসজিদের মাইকে অপপ্রচার করে গ্রামবাসীকে বিভ্রান্ত করা হয়। আসামি না পেয়ে পুলিশ চলে আসে।
উল্লেখ্য যে, গত ১৯ ডিসেম্বর স্থানীয় বান্দেরবাজার এলাকায় রেজা কিবরিয়ার সমর্থকদের সাথে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ সুমনের হাতিহাতি হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সেফুকে প্রধান আসামি করা হয়।