তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলেন তা করেন। তিনি কখনও ওয়াদার বরখেলাপ করেন না। আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে। ইশতেহারে তরুণদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ আছে। নেত্রী সরকার গঠন করলে প্রত্যেক পরিবারের অন্তত একজনকে চাকরি দেয়া হবে। ২০২১ সালের মধ্যে কোনো ঘর অন্ধকার থাকবে না। কোনো লোক গৃহহীন থাকবে না।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নিজের নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ফরায়েজী বাজার, টেকের বাজার, পশ্চিম দরাপনগর ও নূর সোনাপুরে পথসভায় বক্তব্য দেন।
নির্বাচনে লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘এটি তার নিজস্ব মতামত। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় পাঁচজন নিয়ে। পাঁচ সদস্যের মধ্যে অধিকাংশের মতামতকেই সিদ্ধান্ত হিসেবে গণ্য করা হয়।’
নোয়াখালী-৫ আসনে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মানুষ কাজে বিশ্বাস করে, কান্নাকাটি বা চোখের পানিতে ভোট আসে না। মানুষ উন্নয়ন চায়, কাজ চায়। ২২ বছর ক্ষমতায় থেকেও মওদুদ আহমদ এলাকায় কোনো উন্নয়ন কাজ করেননি, একটি ঘরেও বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারেননি। দিয়েছেন শুধু তারেক রহমানের খাম্বা। মানুষকে শুধু ধোঁকাবাজি দিয়েছেন। ধোঁকাবাজির দিন শেষ।’
মওদুদ আহমদ মিথ্যাচার করছেন দাবি করে কাদের বলেন, ‘তিনি অভিযোগ করেছেন যে তাকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। আসলে জনগণ তাকে চায় না বলে তিনি কোনো গণসংযোগে বের হন না। তিনি নিজেকে নিজেই অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। নির্বাচনে কীভাবে বিশৃঙ্খলা করা যায় তার পায়তারা করছেন।’
‘জনগণের চেয়ে বড় হাতিয়ার আর কিছু নেই। জনগণের শক্তি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক, উন্নয়নের রোল মডেল শেখ হাসিনা আগামী ৩০ ডিসেম্ববরের নির্বাচনে অবশ্যই বিজয়ী হবেন,’ যোগ করেন তিনি।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সামছুদ্দিন সেলিম, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমি, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. একেএম জাফর উল্যাহ, জেলা পরিষদ সদস্য আলাবক্স টিটু, সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।