কেন্দ্র দু’টি হলো-শহরের গৌরিপুর এলাকার জামিয়া আরাবিয়া তালিমুন্নিছা মহিলা মাদ্রাসা এবং সদর উপজেলার সাহাব্দির চর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।
বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে এ দুটি কেন্দ্রে হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় উভয়কেন্দ্রে কর্তব্যরত দুই পুলিশসহ অন্তত: ২০ জন আহত হয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন-সদর থানার কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম ও কনস্টেবল আল মামুন। এসব ঘটনায় পুলিশ সোহাগ মিয়া (১৯) নামে এক ছাত্রদল কর্মীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ আ.লীগের লোকজন কেন্দ্র দখলে নিয়ে ব্যালটে সিল মারতে থাকা অবস্থায় প্রতিবাদ করলে পুলিশ বিএনপি কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।
তবে স্থানীয় আ.লীগের অভিযোগ বিএনপির লোকজন ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের উপর লাঠিচার্জ করে।
শেরপুর সদর থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই দু’টি ঘটনায় পুলিশ ২০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে এবং ৮ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম বলেন, আমরা মাঠে তৎপর রয়েছি। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কাউকেই কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবেনা।