পহেলা আগস্টের প্রথম প্রহরে (বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট) রাজধানী ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে আলোর মিছিলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মাসব্যাপী এ কর্মসূচি শুরু হয়।
আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগ।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে সংগঠনের সর্বস্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন অর্ধনমিতকরণ, ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, কবর জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল প্রভৃতি।
এছাড়া গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। টুঙ্গিপাড়ার কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের নেতারা অংশগ্রহণ করবেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে যান। সেই থেকে আগস্ট বাঙালির শোকের মাস।
শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডই নয় এই আগস্টেই আওয়ামী লীগের সমাবেশে ছোঁড়া হয় গ্রেনেড হামলা। এছাড়াও ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলার ঘটনাও ঘটে এই মাসেই।
তৎকালীন বিএনপির শাসনামলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের এই গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং অন্তত ৫০০ নেতাকর্মী আহত হয়।
এছাড়াও ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট আধা ঘণ্টার ব্যবধানে সারা দেশের ৬৩ জেলার ৩০০টি স্থনে ৫০০টির ও বেশি সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।