বুধবার দুপুরে ঘটনার শিকার এক কলেজছাত্রীর চাচা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান খোকন বাদী হয়ে নাচোল থানায় এই এজাহার জমা দেন।
লিখিত অভিযোগে মতিউর রহমান উল্লেখ করেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ শোভন দীর্ঘদিন ধরে নাচোল মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে পড়ুয়া তার ভাতিজিকে উত্ত্যক্ত করে আসছেন। গত মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট শেষে বাড়ি ফেরার পথে নাচোল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা শোভন তার ৬-৭ জন সহযোগীকে নিয়ে ওই কলেজছাত্রীর গতিরোধ করে অশালীন কথাবার্তা বলে। একপর্যায়ে কলেজছাত্রীকে তার মোটরসাইকেলে উঠার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এসময় কলেজছাত্রীর সঙ্গে থাকা এক বান্ধবী এর প্রতিবাদ করলে তাকে কিলঘুষি মারে এবং শ্লিলতাহানী ঘটায় শোভন। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে শোভন তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
এজাহারের সত্যতা স্বীকার করে এনাচোল থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ শোভন বলেন, রাজনৈতিকভাবে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করতেই মিথ্যা গল্প প্রচার করছে প্রতিপক্ষরা। তিনি বলেন কোনো ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত বা মারধরের কোনো ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন।
প্রসঙ্গত, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাচোল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।