তিনি বলেন, ‘আমরা বিচারক নই এবং আমাদের বিচার করার ক্ষমতাও নেই। গণশুনানিতে প্রার্থীরা (একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের) জনগণের সামনে তাদের বিবৃতি তুলে ধরবেন এবং জনগণই এর বিচার করবে। তবে বিচার হবে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে।’
সাত সদস্যের বিচারক প্যানেলের প্রধান হিসেবে গণশুনানিতে যোগ দিয়ে ড. কামাল বলেন, ‘গণশুনানি আয়োজনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো সংবিধানের প্রতি শুদ্ধা দেখানো এবং সংবিধান অনুযায়ী জনগণ দেশের মালিক। আমাদের ভোটের অধিকার রক্ষায় আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম।’
গণশুনানি সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন অডিটোরিয়ামে শুরু হয়।
নির্বাচনে ‘জালিয়াতি’ নিয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে তাদের অনেক প্রার্থী ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছেন উল্লেখ করে ড. কামাল বলেন, নির্বাচনে কি ঘটেছে তা জনগণকে জানাতেই তাদের জোট এই গণশুনানির আয়োজন করেছে।
তিনি বলেন, ‘শুনানিতে প্রার্থীরা তাদের বিবৃতি দেবেন এবং পরবর্তীতে সকল বিবৃতি বই আকারে প্রকাশ করা হবে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৩০ ডিসেম্বর দেশে ‘তথাকথিত প্রহসনের’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে ফখরুল শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন।
নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন ঐক্যফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা। এছাড়া নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
বিচারক প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন-অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ, সাবেক বিচারক আ ক ম আনিসুর রহমান খান, অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও আইনজীবী মহসিন রশিদ।
গণশুনানিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপি, গণফোরাম, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও ঐক্যফ্রন্টের সিনিয়র নেতারা এবং বিভিন্ন জোটের কর্মী-সমর্থকরা অংশ নেন।
এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি গণশুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হলেও ওই দিন রাজধানীতে কোনো জায়গার ব্যবস্থা না হওয়ায় তা দুদিন এগিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।