তবে তারা সরকারকে সতর্ক করে বলেন, এটি যেন লোক দেখানো সংলাপ না হয়।
জোটের আহ্বায়ক সাইফুল হক বলেন, ‘সংলাপের জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ জানানো একটি ভালো ইঙ্গিত। দেরিতে হলেও তারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। কিন্তু শুধু লোক দেখানোর উদ্দেশে এটি করা উচিৎ নয়।’
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে স্মারকলিপি পেশ করার আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক র্যালিতে তিনি এ কথা বলেন।
র্যালিটি বঙ্গভবনের উদ্দেশে দৈনিক বাংলা মোড়ে পৌঁছানোর পর পুলিশি বাধায় সেটি পণ্ড হয়ে যায়।
পরে বাম গণতান্ত্রিক জোটের আহ্বায়ক সাইফুল হকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
র্যালিতে সিপিবি’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৭ বছর পেরিয়ে গেলেও মানুষ এখনও তাদের ভোটের অধিকার পায়নি। আমরা সংলাপের বিষয়বস্তু পর্যবেক্ষণ করব। এটি অবশ্যই জনগণের জন্য হতে হবে, ৬০-৪০ বিভাজনের জন্য নয়।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতকরণসহ চার-দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে ফেলা, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ করা, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং পুরো নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার করা।
র্যালিতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক জোনায়েদ সাকি, সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, সিপিবি নেতা সাজ্জাদ জাহের চন্দন, গণসংহতি আন্দোলনের সাধারণ সমন্বয়ক মোশাররফ হোসেন নান্নু এবং কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ মিশু।