সোমবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি-রব) সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সাথে বৈঠক করেন।
নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে অন্য চার কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আব্দুর রব বলেন, গত ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সংলাপে তারা যে সাত দফা তুলে ধরেছিলেন সেই আলোকেই নির্বাচন কমিশনের সাথে আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈঠকে তাদের তুলে ধরা কিছু বিষয়ে কমিশন একমত হয়েছে। কিন্তু সেনা মোতায়েন ও ইভিএম ব্যবহারসহ কিছু বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি ইসি।
রব বলেন, ‘আগামী ৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠকে ফলাফর আসার আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করতে আমরা তাদের অনুরোধ করেছি। মনে হয় তারা আমাদের অনুরোধ বিবেচনা করবে।’
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় ভোট কেন্দ্রে যাতে পোলিং এজেন্টরা সাহসীকতার সাথে এবং নিরাপদে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে তার জন্য এজেন্টদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছে ইসি। ‘ভোট গণনার আগে পোলিং এজেন্টদের কাছ থেকে কোনো সাইন নেয়া হবে না বলেও তারা আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছে।’
অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এবং ভোটার ইভিএম ব্যবহারের বিপক্ষে দাবি করে তারা ইসিকে আসন্ন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার আহ্বান জানান। ‘কিন্তু তারা (ইসি) এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি।’
রব বলেন, নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন তারা। ‘সিইসি বলেছেন, তিনি বলেননি যে সেনা মোতায়েন করা হবে না।’
তিনি বলেন, সিইসি নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা মোতায়েনের কথা বলেছেন। তবে তারা এর বিরোধীতা করেছেন। ‘তারা (ইসি) এটি শুনেছে, কিন্তু এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি।’
ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, বরকতউল্লাহ বুলু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার সুলতান মুহাম্মাদ মনসুর আহমেদ।