অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রেন্টের পক্ষ থেকে সংলাপে অংশ নেবে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল।
বুধবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১৪ দলীয় জোটের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নাম জানানো হয়। এদের মধ্যে ১৮ জন আওয়ামী লীগ নেতা, আর বাকি চারজন জোটের সদস্য।
আওয়ামী লীগের অন্য নেতারা হলেন-ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, আবদুর রাজ্জাক, কাজী জাফর উল্যাহ, রমেশ চন্দ্র সেন, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুস সোবহান গোলাপ, ড. হাছান মাহমুদ ও শ ম রেজাউল করিম।
চারজন ১৪ দলীয় নেতা হলেন- সাম্যবাদী দলের নেতা দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা রাশেদ খান মেনন, জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু ও জাসদের একাংশের নেতা মইন উদ্দীন খান বাদল।
এর আগে মঙ্গলবার ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আওয়ামী লীগের সাথে সংলাপের জন্য ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নাম পাঠায়।
ঐক্যফ্রন্ট প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমীর উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, সহ সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না ও শ ম আকরাম, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, এবিএম মোস্তফা আমিন এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দলের সাথেও সংলাপে বসতে চান; তবে যেহেতু নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা হয়ে যাবে, তাই সময় পাওয়া যাবে কিনা- সংশয় প্রকাশ করেন কাদের।
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর কোনো পূর্বশর্ত নেই। যেকোনো ইস্যুতে কথা বলা যাবে।’
এর আগে গত রবিবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় বসতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠান ড. কামাল হোসেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার ড. কামাল হোসেনকে পাঠানো এক চিঠিতে আলোচনায় বসতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের আমন্ত্রণ জানান।