‘বর্তমান সরকারের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা সব মন্ত্রী ও এমপির সম্পদের হিসাব দেখতে চাই। জনসমক্ষে এ হিসাব দিতে হবে,’ বলেন তিনি।
রাজধানীতে এক মানববন্ধনে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘সেই সাথে আমরা জানতে চাই, মন্ত্রী হওয়ার আগে তাদের সম্পত্তি কত ছিল এবং মন্ত্রী হওয়ার পরে এখন তা কত বেড়েছে।’
‘যদি তারা আমাদের এ দাবি মেনে না নেন, তাহলে আমরা ধরে নেব বর্তমান সংসদে থাকা প্রত্যেক মন্ত্রী ও এমপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা যায়,’ বলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
নিজের দাবির পরিপ্রেক্ষিত হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, ‘সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া একটি আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ না কি পৃথিবীর এক নম্বর দেশ, যেই দেশে খুব দ্রুত ধনী হওয়া যায়।’
‘এর মানেই হলো যারা জুয়া, ক্যাসিনো ব্যবসা ও অর্থপাচার করে কালো টাকা উপার্জন করেন তারা ধনী হচ্ছেন। ব্যাংক ব্যবসা এখন ধ্বংস হয়ে গেছে। এ জন্যই আমরা এ (সম্পদের হিসাব জমা দেয়ার) দাবি জানাচ্ছি,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘সরকার যত দিন পর্যন্ত এসবের পেছনে থাকা ক্ষমতাসীন প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপিদের খারাপ কাজ চিহ্নিত করতে না পারবে তত দিন ক্যাসিনো ব্যবসা ও অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে চালানো অভিযান সফল হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার দুর্নীতির সমাধান করতে পারবে না কারণ তারা এতে ডুবে আছে। তাদের উচিত হবে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সবার কাছ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। যাতে, জনগণ আসল জনপ্রতিনিধিত্বপূর্ণ সরকার গঠনের সুযোগ পায়।’