বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা সবাই জানি (৩০ ডিসেম্বরের) নির্বাচনে কে কী করেছেন। এখন, প্রশাসন দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। তারা (সরকার) এখন সরকারি কর্মচারি, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বেসামরিক প্রশাসনের বেতন বাড়াচ্ছে। কিন্তু মানুষের আয় বাড়ছে না।’
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার নির্বাচিত সরকার নয়। তারা শুধুমাত্র ‘প্রভুদের’ আদেশ পালনে একের পর এক তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা আকড়ে আছে। তারা পুতুল সরকারের ভূমিকা পালন করছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন ১৯৭৫ সালের ‘একদলীয়’ বাকশালের প্রশংসা শুরু করায় ফখরুল এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে ১৯৭৫ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। বাকশালের পেছনে কোনো মহৎ উদ্দেশ্য ছিল না। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করা।’
ক্ষমতাসীন দলের অপকর্ম ও দুর্নীতি আড়াল করতে শেখ হাসিনা বাকশালের গুণগান করার চেষ্টা করছেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই যে ১৯৭৫ আর ২০১৯ এক নয় এবং অনেক কিছু পরিবর্তিত হয়েছে। আপনি যদি একদলীয় শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চান তা দেশের মানুষ কোনোভাবেই মেনে নেবে না।’
বিএনপির অসুস্থ চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ‘বেআইনিভাবে’ কারাগারে বন্দী রাখার জন্য সরকারকে দায়ী করেন মির্জা ফখরুল এবং তিনি খালেদাকে মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।