‘এই নির্বাচন একটি প্রহসনের নির্বাচনে পরিণত হয়েছে। সারাদেশে আমাদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হলো রাষ্ট্রের প্রশ্রয়ে এটা করা হচ্ছে। যেটা অবিশ্বাস্য। আওয়ামী লীগ সরকার প্রমাণ করেছে তাদের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’, বলেন তিনি ।
সকাল ৯টায় ঠাকুরগাঁওয়ের নিজ বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন ফখরুল।
মির্জা ফখরুল প্রশ্ন তোলেন, সরকার কী চাচ্ছে। সরকার রাষ্ট্রকে ব্যবহার করছে কেন? সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙ্গে দিচ্ছে কি জন্য?
তিনি বলেন, আজকে এই নির্বাচনে প্রমাণ হয়ে গেল, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন কখনো সুষ্ঠু হতে পারে না।
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা নির্বাচনে আছি এবং শেষ দিন পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবো।
নিজ নির্বাচনী এলাকার বিষয়ে ফখরুল বলেন, কিছুদিন আগেও এই ঠাকুরগাঁওয়ে পরিবেশ মোটামুটি স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু গতকাল (বুধবার) রাতে ঠাকুরগাঁওয়ে এসে দেখলাম প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীরা বড় বড় অস্ত্র, রাম দা লাঠিসোঁটা নিয়ে পাড়া-মহল্লায় ঢুকছে ও ধমক দিচ্ছে। দুঃখজনক ব্যাপার হলো গুজব যেটা উঠেছে যে, তাদের সাথে পুলিশ প্রশাসনও থাকছে। এখানে প্রশাসন প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথে মিটিং করে বলেছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেন কেউ না যায়।
তিনি বলেন, এটাতো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়, সবাই কাজ করবে একটা নির্বাচনের জন্য। নিরপেক্ষ থাকা যাবে না এটাতো হয় না।
ফখরুল আরো বলেন, গতকাল আমার স্ত্রী ও ছোট মেয়ে প্রচারে বের হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়। এটা যেহেতু আমার আসন, তাই বর্তমান সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের সন্ত্রাসীরা অফিস পুড়িয়ে দিচ্ছে আর বিএনপি’র উপর দোষ চাপাচ্ছে।
তিনি বলেন, এখানে চেষ্টা করা হচ্ছে একটি সাম্প্রদায়িক বিষয় নিয়ে আসার জন্য। এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সংখ্যালঘুদের বাড়িতে আগুন দিয়ে তারা দোষ চাপাচ্ছে বিএনপি’র উপর। এখানে আমরা পরিবার নিয়ে জন্মলগ্ন থেকে বসবাস করছি সম্প্রীতির মধ্যে। আমরাতো এটা চিন্তাও করতে পারি না।
এরপর তিনি ঢাকা যাওয়ার জন্য সৈয়দপুর বিমান বন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেন।