তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি করতে দেয়া হচ্ছে না। আমরা দল পুনর্গঠনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কাউন্সিল করার চেষ্টা করছি। কিন্তু এ জন্য আমরা অনুমতি পাচ্ছি না। সরকার প্রক্রিয়াটিতে বাধা দিচ্ছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ আরও বলেন, শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিল আয়োজনের ওপর ঢাকার একটি আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ‘আমরা গণতান্ত্রিকভাবে আমাদের দল ও সহযোগী সংগঠনগুলো পুনর্গঠনের চেষ্টা করছি। কিন্তু সরকার আমাদের গণতান্ত্রিক চর্চায় বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রদলের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সহকারী সম্পাদক মো. আমান উল্লাহর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত সংগঠনটির কাউন্সিল আয়োজনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়।
মোশাররফ অভিযোগ করেন, দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রোধ করার অংশ হিসেবে ছাত্রদলের কাউন্সিলে বাধা দেয়া হয়েছে।
সরকার ‘হীন উদ্দেশ্যে’ খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী যিনি স্বৈরশাসক এইচএম এরশাদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত এবং সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি গণতন্ত্রের প্রতীক ও মা।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলে ২৯ ডিসেম্বর রাতে ‘ভোট ডাকাতির’ মাধ্যমে ক্ষমতায় বহাল রয়েছে।
প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এখন সর্বত্র ব্যাপক দুর্নীতি চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
‘আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বালিশ ও পর্দা কেনায় দুর্নীতি ছিঁচকে কাজ। এমন মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি স্বীকার করেছেন যে সরকার এর চেয়ে বড় দুর্নীতিতে জড়িত,’ বলেন মোশাররফ।
তার মতে, লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে দেশ পরিচালনায় সরকারের পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তারা মানুষের ওপর নানাভাবে কর ও মূসক আরোপ করছে। তিনি করদাতাদের টাকায় নির্মিত মহাসড়ক থেকে আবার টোল আদায়ের সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেন।