খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাবিবুল্লাহ সরকার জামালপুর রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ছিলেন। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি সরকারি হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের নাম জামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তিনি বর্তমানে এই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। পাশাপাশি তিনি দলীয় সকল কর্মসূচীতে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন।
সম্প্রতি চর-ইসলামপুর গ্রামের রাস্তায় বেশ কয়েকটি তোরণ নির্মাণ করেছেন ওই শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা। সেখানে নিজের পদ উল্লেখ করে ছবি সম্বলিত ডিজিটাল ব্যানার টানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে চর-ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দানা মিয়া বলেন, গ্রামের লোক বলে তাকে আমরা কমিটিতে রেখেছি।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সরকারি কোনো চাকরিজীবি রাজনৈতিক দলের কোন পদবিতে থাকতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে রেখেছি। তিনি থাকতে রাজি ছিলেন না।’
এ ব্যাপারে হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ‘আসলে আমি রাজনীতি এমনিতেই করি। নির্বাচনের আগে লোকজন আমাকে এই পদে রাখার দাবি তোলে।’
তবে সরকারি চাকরিজীবি হয়ে রাজনৈতিক দলের পদে থাকতে পারেন কি না, জিজ্ঞেস করলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক আওয়ামী লীগের কোনো পদে থাকতে পারে না। আর চর-ইলামপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের বিষয়টি আমাদের নজরে আসেনি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক বলেন, সরকারি কোনো কর্মকর্তা রাজনৈতিক দলের কোনো পদে থাকতে পারবে না। এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।