দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গতকাল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে সরকারি জোটের সংলাপে সরকারের একগুঁয়েমি মনোভাব গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বড় ধরনের অশনি সংকেত।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘সংলাপে মানুষের মনে যে আশাবাদ জেগে উঠেছিল, সংলাপ শেষে সেই আশার মুকুল ঝরে যেতে শুরু করেছে।’
রিজভী আরও বলেন, সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবির প্রতি আওয়ামী লীগ সাড়া না দেয়ার যে দৃঢ়তা দেখিয়েছে, এর ফলে সুষ্ঠু নির্বাচনের অগ্রগতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে বিএনপির এ নেতার মতে, সরকার যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে আন্তরিক হয় এবং রাজনৈতিক বিভক্তি দূর করতে চায় তাহলে তারা ঐক্যফ্রন্টের দাবির বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে জোটের নেতাদের সাথে আরও সংলাপ করবে।
বিএনপির এ নেতা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সাত দফা দাবি পূরণে সরকার অনমনীয় মনোভাব দেখাতে থাকলে মাথা উঁচু করে রাজপথেই তা আদায় করা হবে। দুর্জয় সাহস নিয়ে মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামবে।
রিজভীর অভিযোগ, ‘প্রধানমন্ত্রী সংলাপের ভাষণে রাজনৈতিক মামলায় কারা আছেন তাদের তালিকা চেয়েছেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু গতকাল সংলাপ শেষ হওয়ার পরই আমরা দেখলাম টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালেহ মোহাম্মদ ইথেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসলে পুলিশি শক্তির ব্যবহার ছাড়া আওয়ামী জোট সরকারের আর কোনো ভিত্তি নেই।’