এ ঘটনায় অন্তত ২০টি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকাল থেকে দফায় দফায় উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী বরাতে পুলিশ জানায়, ফুকরা গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হায়দার সিকদারের সাথে একই গ্রামের কাউছার মাতুব্বারের বিরোধ চলে আসছিল। এরা দুইজনই আওয়ামী লীগ সমর্থক তবে তাদের কারোরই কোনো পদ নেই। মঙ্গলবার রাত ৮টায় ফুকরা বাজারে হায়দার সিকদারের সমর্থক লাল মিয়ার সাথে কাউছার মাতুব্বারের সমর্থক রুহুল মোল্লার কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার পর রাতেই উভয় দলের সর্মথকেরা দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬টি কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে ও শটগানের ২৭টি গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর জের ধরে বুধবার সকাল ৭টায় উভয় দলের সমর্থকেরা পুনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দিনভর দফায় দফায় চলা এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০টি বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আহতদের নগরকান্দা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে দু’দফায় ২৪টি কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়েছে এবং শর্টগানের ৩২টি গুলি ছুড়তে হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। বিকাল পর্যন্ত কোনো পক্ষই এ ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি।
ওসি আরও বলেন, ‘সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ইটের আঘাতে চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।’