রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকার সারদা সুন্দরী বালিকা বিদ্যালয় মাঠে এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ফরিদপুর-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ জনপ্রিয়তা হারিয়ে ভালো-মন্দ বোধ শূন্য হয়ে পড়েছেন। তার নির্বাচনী প্রচারণায় দলীয় নেতা-কর্মী বা জনগণের কোনো অংশগ্রহণ নেই। তাই তিনি পাগলের প্রলাপ বকা শুরু করেছেন। নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে কামাল ইউসুফ নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টির মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
‘কমিশন থেকে আমার কাছে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে আমি বলেছি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কাউকে বাধা দিচ্ছে না। কামাল ইউসুফ জয় বাংলা শ্লোগান শুনে ভয় পেয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন। আগুন সন্ত্রাসী দলের প্রার্থী কামাল ইউসুফ এখন নিজের ছায়াকেও ভয় পাওয়া শুরু করেছেন। নির্বাচন থেকে নিজে সরে যাওয়ার অজুহাত খুঁজছেন। তাই নির্বাচন কমিশনে তিনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য আমি সিইসিকে ফোন করলে তিনি আমার ফোন ধরেন না। এমনকি ভদ্রতা বা সৌজন্যবশত আমাকে ফিরতি ফোনও করেননি।’
তিনি ফিরতি প্রশ্ন করে বলেন, ‘এটা কি নির্বাচন কমিশনের স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতিত্ব নয়? ওদের সাথে নির্বাচন কমিশনের সাথে নিশ্চই বিশেষ কোনো গোপন আঁতাত আছে। তাই আমার ফোন ধরেন না। নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের আচরণ মেনে নেয়া যায় না। তিনি এ ধরনের আচরণ করতে পারে না।’
ওই নির্বাচনী সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সাংবাদিকদের তা লেখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি গোপনে এ অভিযোগ করছি না। প্রকাশ্যেই এবং আনুষ্ঠানিকভাবে এ অভিযোগ করছি। আপনারা (সাংবাদিক) এ কথাগুলো পত্রিকায় ছাপান।’
এসময় ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল হকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম, পৌর মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু, গোলাম মো. নাসির প্রমুখ।