তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ বিশ্বের সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। এটা লজ্জাজনক যে তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০ ধাপ নিচে নেমে গেছে।’
‘তো, আমার প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশ যদি বিশ্বে রোল মডেল হয় তাহলে এ দেশ বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় কেন ১০ ধাপ নিচে নেমে গেল? সরকারকে এ প্রশ্নের জবাব দিতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘের বিশ্ব সুখ দিবস উপলক্ষে বুধবার বিশ্বের সুখী দেশের তালিকা ২০১৯ প্রকাশ করা হয়। এ তালিকায় বিশ্বের ১৫৬ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১২৫তম অবস্থান অর্জন করেছে। গেল বছর বাংলাদেশ বিশ্বের ১১৫তম সুখী দেশ ছিল।
তালিকায় পাকিস্তানের অবস্থান ৬৭তম, ভুটানের ৯৫তম ও নেপালের ১০০তম। যেখানে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের অবস্থান যথাক্রমে ১৩০তম ও ১৪০তম।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে বলে প্রচারণা চালিয়ে সরকার জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে।
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সরকার জনগণকে ধোঁকা দিয়ে বেশি দিন ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে পারবে না।
বিএনপির এ নেতা দাবি করেন, বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের ওপর অলিখিত ‘সেন্সরশিপ’ আরোপ করছে এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে এক দলীয় বাকশাল ‘পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ করে সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে।
জনগণ একদিন অবশ্যই সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসবে এবং খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে বলে মন্তব্য করেন ড. মঈন।
তিনি বলেন, সরকারের ইচ্ছায় খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যা’ রাজনৈতিক মামলায় ‘অন্যায়ভাবে’ কারাগারে রাখা হয়েছে।
সরকার আইন, বিচার ও প্রশাসনে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করায় দেশ থেকে ন্যায় বিচার নাই হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এ নেতা।