শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আগামী নির্বাচন নিয়ে ড. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের সাথে সংলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব না। এ ধারা অব্যাহত থাকুক এবং উন্নয়নের গতি সচল থাকুক।’
সবাইকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবার সাথে সংলাপ করছে আওয়ামী লীগ। অনেক ঘাত প্রতিঘাত ও বাধা অতিক্রম করে আমরা গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখছি। জনগণের কল্যাণে কাজ করছি।’
‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকুক, এটাই আমরা চাই। গণতান্ত্রিক ধারা বজায় থাকলে দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, আমরা সেই সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী গণভবনে আসার জন্য যুক্তফ্রন্ট নেতাদের স্বাগত ও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘গণভবন জনগণের ভবন। আপনারা এখানে এসেছেন এ জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
এর আগে রাত পৌনে ৮টা থেকে সংলাপ শুরু হয়।
সংলাপে ১৪ দলীয় জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে ২১ সদস্য বিশিষ্ট যুক্তফ্রন্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ড. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
যুক্তফ্রন্ট প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী, গোলাম সারোয়ার মিলন, আবদুর রউফ মান্নান, মোহাম্মদ ইউসুফ, সহ-সভাপতি মাহমুদা চৌধুরী, সাবেক এমপি এইচএম গোলাম রেজা, বিএলডিপি সভাপতি নাজি মউদ্দীন আল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গণি, মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মর্তুজা এবং জাতীয় জনতা পার্টির সভাপতি শেখ আসাদুজ্জামান।
বিকল্পধারার সভাপতির প্রেসসচিব জাহাঙ্গীর আলম ইউএনবিকে বলেন, সংলাপের পর যুক্তফ্রন্টের নেতারা রাত ১১টার দিকে বি. চৌধুরীর বারিধারাস্থ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করবেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের সাথে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী দীর্ঘ সংলাপে অংশ নেন ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
গত মঙ্গলবার বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ড. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী তার দলের সাথে সংলাপে বসতে শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠান। পরে প্রধানমন্ত্রী গণভবনে সংলাপের জন্য বি. চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানান।