সাতজন আত্মীয় রান্না করা খাবার, নতুন পোশাক ও ফুল নিয়ে বিএনপি প্রধানের সাথে দেখা করতে দুপুর ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ৬২১ নম্বর কেবিনে যান বলে খালেদা জিয়ার মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ইউএনবিকে জানিয়েছেন।
তবে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন যে ঈদের দিন তাদের দলের সিনিয়র নেতাদের খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে না দিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ কারাবিধি ভঙ্গ করেছে।
খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। তবে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে গত ১ এপ্রিল থেকে তিনি বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
বিএনপি প্রধানের সাথে দেখা করা স্বজনরা হলেন- বোন সেলিনা ইসলাম, সেলিনার স্বামী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, প্রয়াত ভাই সাইদ এস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন এস্কান্দার, ভাই শামীম এস্কান্দারের ছেলে অভীক এস্কান্দার, ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউকের মেয়ে তামান্না হক, তারেক রহমানের স্ত্রীর বড় বোন শাহিনা জামান বিন্দু ও আরাফাত রহমান কোকোর শাশুড়ি মোখরেমা খাতুন।
শামসুদ্দিন দিদার জানান, স্বজনরা খালেদা জিয়ার জন্য পোলাও, মুরুগির রোস্ট, রেজালা, বিভিন্ন মাছের তরকারি, দুধ-সেমাই, মিষ্টি, দুধ ও ফল নিয়ে যান।
তারা খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ এবং সময় কাটিয়ে বেলা ২টা ৫০ মিনিটে কেবিন থেকে বেরিয়ে আসেন বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বজন জানান, তারা বিএনপি প্রধানকে গোলাপের তোড়া উপহার দিয়ে ঈদ মোবারক জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ঈদের দিন অসুস্থ বিএনপি প্রধানের সাথে কারাগারে দেখা করে তারা আপ্লুত হয়ে পড়েন। ‘তার (খালেদা) জন্য আমাদের নেয়া খাবার তিনি গ্রহণ করেছেন।’
এর আগে বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, বিএনপির সিনিয়র নেতারা ঈদের দিন খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাইলেও তাদের তা দেয়া হয়নি।
এ নিয়ে টানা তিন ঈদ কারাগারে কাটালেন খালেদা জিয়া। গত বছরের দুই ঈদে তিনি পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। তারও আগে ২০০৭ সালে ১/১১ সরকারের আমলে গ্রেপ্তার হয়ে দুটি ঈদ কারাগারে কাটাতে হয়েছিল বিএনপি প্রধানকে।