মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ এবং বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের দ্বৈত বেঞ্চ এ বিভক্ত আদেশ দেন।
বিচারকদ্বয়ের মধ্যে সিনিয়র বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ খালেদা জিয়ার আবেদন গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে রায় দেন। অর্থাৎ এই বিচারপতির মতে, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
অপরদিকে জুনিয়র বিচারপতি মো. ইকবাল কবির বিএনপি চেয়ারপার্সনের আপিল গ্রহণ না করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকেই গ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ এই বিচারপতির মতে, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্য নয়।
অন্য প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচারণায় নেমে গেলেও হাইকোটের এমন দ্বিধাবিভক্ত আদেশের ফলে নির্বাচনে খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা ভাগ্যের সমাধান এখনো কাটলো না।
এর আগে তিনটি আসনে (ফেনি-১, বগুড়া-৬ ও ৭) মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া। গত সোমবার ওই রিটের শুনানি শেষে আজ (মঙ্গলবার) রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জানান, এখন নিয়ম অনুযায়ী এ মামলার নথিপত্র প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। প্রধান বিচারপতি তৃতীয় একটি বেঞ্চ গঠন করে দেবেন আবেদনটি নিষ্পত্তি করার জন্য।
আইন অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলায় দুই বা দুই বছরের অধিক কারো সাজা হলে, সাজা শেষে পাঁচ বছরের আগে কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ২৯ অক্টোবর ঢাকার একটি বিশেষ আদালত খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়।
একই আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠায়। পরে হাইকোর্ট ৩০ অক্টোবর দেয়া রায়ের দণ্ডের মেয়াদ বাড়িয়ে ১০ বছর করে।
ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে তিনটি আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিলেও দুটি মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় মনোনয়নগুলো বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।