দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘২১ আগস্টের রায় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের নিশ্চিহ্ন করার রায়। এ নিশ্চিহ্ন প্রক্রিয়ার অন্যতম লক্ষ্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কোনো রকম সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়াই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আক্রোশমূলক এই রায়ে তারেক রহমানকে প্রহসনের বিচারে সাজা দেয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই। তাই অবিলম্বে এই রায় বাতিল করতে হবে। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ তদন্ত করে ন্যায় বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।’
রাজধানীতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার দুই মামলায় গত ১০ অক্টোবর দ্রুত বিচার আদালত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
রিজভীর দাবি, এই প্রতিহিংসামূলক ফরমায়েশি রায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মহাজোট সরকারের নিষ্ঠুর অবিচারের আর একটি দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এই রায়ের মাধ্যমে দুটি লক্ষ্য পূরণ করতে চাচ্ছেন- বর্তমানে চারদিকে যে নৈরাশ্যের ছবি মানুষ দেখছে সেখান থেকে দৃষ্টি ফেরানো এবং তারেক রহমানের ওপর প্রতিহিংসা চরিতার্থ করে জিয়া পরিবারকে হেয় করা।
বিএনপির এ নেতা আরও দাবি করেন, সরকারের ফরমায়েশে দেয়া এ রায় দেশের জনগণ মেনে নেয়নি।