বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে ইসিকে তিন দিন সময় দিয়েছে।
সেই সাথে আদালত একই বিষয়ে দায়ের করা রিট আবেদন নিষ্পত্তি করেছে।
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ চার ব্যক্তি জামায়াত নেতাদের মনোনয়নের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইসিতে আপিল করেন এবং একই দিনে হাইকোর্টে যান।
রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তির রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১ আগস্ট ইসি থেকে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে। এবিষয়ে চলতি বছরের ২৯ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি।
জামায়াত প্রকাশ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল এবং বাঙালিদের স্বাধীনতার সংগ্রাম ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর পক্ষ নিয়েছিল। দলটির অনেক সিনিয়র নেতা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী আপরাধের দায়ে দণ্ডিত হয়েছেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হওয়া জামায়াত নেতারা হলেন: দিনাজপুর-১ মোহাম্মদ হানিফ, দিনাজপুর-৬ মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-২ মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, গাইবান্ধা-১ মাজেদুর রহমান সরকার, সিরাজগঞ্জ-৪ মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, পাবনা-৫ মাওলানা ইকবাল হুসাইন, ঝিনাইদহ-৩ অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, যশোর-২ আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, বাগেরহাট-৩ অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট-৪ অধ্যাপক আবদুল আলীম, খুলনা-৫ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ মাওলানা আবুল কালাম আযাদ,সাতক্ষীরা-২ মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ মুফতি রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১ শামীম সাঈদী, ঢাকা-১৫ ডা. শফিকুর রহমান, সিলেট-৬ মাওলানা হাবিবুর রহমান, কুমিল্লা-১১ ডা. আবদুল্লাহ মো. তাহের, চট্টগ্রাম ১৫-আ ন ম শামসুল ইসলাম এবং কক্সবাজার-২ হামিদুর রহমান আযাদ।