তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচন ছিল জাতির সাথে উপহাস, নিষ্ঠুর উপহাস। এ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতিকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে বিকাল ৩টার দিকে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে আসেন এবং একাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিল ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে কমিশনে স্মারকলিপি জমা দেন।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ড. আবদুল মঈন খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র তুলে ধরা হয়। যার মধ্যে রয়েছে- দলীয় মনোনয়নে বাধা সৃষ্টি, মনোনয়ন বাছাইয়ে ইসি ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের রহস্যজনক ভূমিকা, অযথা প্রার্থীদের গ্রেপ্তার, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিরুৎসাহিত করা, নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা, সামাজিক ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ, সেনাবাহিনীকে নিষ্ক্রিয় রাখা ইত্যাদি।
সেই সাথে স্মারকলিপিতে একাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিল এবং নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানানো হয়।
নতুন সরকার আজ ইতিমধ্যে শপথ নিয়ে ফেলেছে। তারপরও তারা কেন কমিশনে এসেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করেছে, তাই আমরা এখানে এসেছি।’
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীরা শপথ নেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছি। তাই শপথ নেয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।’