রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি ও তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলোর যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি জানান, কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৭ নভেম্বর সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সেই সাথে ১০টায় নেতা-কর্মীরা দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি রাজধানীতে ৬ অথবা ৮ নভেম্বর আলোচনা সভার আয়োজন করবে।
এছাড়া, বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রচনা প্রতিযোগিতা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মতো বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করবে।
৭ নভেম্বরকে বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন’ আখ্যায়িত করে ফখরুল বলেন, তারা দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি জানান, তাদের দল ও সহযোগী সংগঠনগুলো মাসব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করবে।
ফখরুল বলেন, দিবসটি সামনে রেখে তাদের দল সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশের পাশাপাশি লিফলেট বিতরণ করবে।
রাজনৈতিক গোলযোগের সময় ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতা এক হয়ে তৎকালীন বন্দী সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে ঢাকা ক্যান্টমেন্ট থেকে মুক্ত করে, যার ফলে তার ক্ষমতায় যাওয়ার পথ তৈরি হয়।
বিএনপি ও তাদের জোট সঙ্গীরা ৭ নভেম্বরকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দিনটিকে বিবেচনা করে ‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যা’ দিবস হিসেবে। আর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল দিনটি পালন করে সিপাহী-জনতার বিপ্লব হিসেবে।