বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) তার বোনের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সেলিমা সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শরীর অত্যন্ত খারাপ। পা বেঁকে যাওয়ায় তিনি নড়াচড়াও করতে পারছেন না। এমনকি বিছানায় শুয়ে থাকতেও তার সমস্যা হচ্ছে। আমরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে চাই।’
বিএনপি প্রধান বিদেশে যেতে চান কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে খালেদা জিয়া তাদের কিছু বলেননি। ‘কিন্তু আমরা (পরিবারের সদস্য) তার স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে তাকে বিদেশে পাঠাতে চাই।’
সেলিমার অভিযোগ, খালেদা জিয়া বিএসএমএমইউতে যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। তার স্বাস্থ্যের অবস্থা উন্নতি না হয়ে দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
তিনি আরও দাবি করেছেন যে চিকিৎসকরা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে খালেদা জিয়াকে দেখতে আসেননি বা তাকে কোনো চিকিৎসাও দেননি। ‘সুতরাং কেন তাকে অযথা এখানে (বিএসএমএমইউ) রাখা হয়েছে? উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে চাই।’
এক প্রশ্নের জবাবে সেলিমা বলেন, খালেদা জামিনে মুক্তি পেতে চান, প্যারোলে নয়।
তিনি তার বোনের অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, খালেদা জিয়া উঠতে পারছেন না, বসতে পারছেন না। ‘এমনকি, তিনি নিজ হাতে কিছু খেতে পারছেন না এবং কারও সাহায্য ছাড়া কিছুই করতে পারছেন না।’
সেলিমা ইসলাম, তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ছেলে অভিক ইস্কান্দার, খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বড় বোন শামীম আরা বিন্দু, সাইদ ইস্কান্দারের ছেলে অতনু ইস্কান্দারসহ পরিবারের ছয় সদস্য বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করতে যান। তারা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন বলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ড পেয়ে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। একই বছর আরেকটি দুর্নীতি মামলাতেও তিনি সাজা পান। তিনি চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।