‘নির্বাচনের নামে দেশে যে প্রহসন হয়েছে তা দেশকে গণতন্ত্রহীনতা এবং অন্ধকারের যুগে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। এটা জনগণের সাথে একধরনের প্রতারণা এবং প্রহসন। জনগণ তা মেনে নেয়নি ও নিবেও না’, বলেন তিনি।
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা এলাকায় গণধর্ষণের শিকার ৪ সন্তানের জননী ওই নারীকে দেখতে আজ দুপুরে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে যায় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সেখানে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশের মানুষ তা প্রতিহত করবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের পূর্বে ও পরে যে ধরনের নৃশংসতা হয়েছে ইতিহাসে তা বিরল। সহিংসতায় এ যাবৎ অসংখ্য মানুষ আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। ভাংচুর করা হয়েছে নেতাকর্মীদের ঘরবাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ বিপুল সম্পদের।
তিনি বলেন, জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা একলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার সকল প্রচেষ্টা রুখে দাঁড়াবো। জনগণের অধিকারকে হরণ করার নীল-নকশা প্রতিহত করবই। সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেশবাসী একদিন দিবেই দিবে।
এ সময় ঐক্যফ্রন্ট নেতা কাদের সিদ্দিকী, আসম আবদুর রব, আতাউর রহমান ঢালি, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মো: শাহজাহান, জয়নুল আবদীন ফারুক, বরকত উল্যা বুলু, সহিদুল হক এ্যানি, এডভোকেট সৈয়দ আসিফা পাপিয়া, এডভোকেট সালমা আক্তার ও হিরো আলমসহ জেলা পর্যায়ের বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। এসময় তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতারও আশ্বাস দেন তারা।
এর আগে নোয়াখালী যাবার পথে কুমিল্লায় একটি হোটেলের সামনে যাত্রাবিরতি করেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। সেখানে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। এই ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।