সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত কূটনৈতিকদের ব্রিফিংয়ে তারা এই মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও চীনসহ ৫০টি দেশের কূটনীতিক ও দাতা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ২১ আগস্ট হামলায় আহত ড. রুমা বলেন, ‘১৪ বছর পরেও স্প্লিন্টারের আঘাতের ভয়ঙ্কর ব্যথা সহ্য করতে হয় প্রতিনিয়ত। চিকিৎসকরা বলেছেন, বা পা চিরতরে হারাতে হতে পারে।’
আরেকজন আহত সেলিম জানান, মৃত্যুর আগে তারেক রহমানসহ ২১ আগস্টের সব হামলাকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর দেখে যেতে চান তিনি। এটাই তার শেষ ইচ্ছা।
আহতদের মুখে ২১ আগস্ট হামলার ঘটনার হৃদয় বিদারক বর্ণনা শুনে কূটনীতিকসহ উপস্থিত সবাই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
উপকমিটির চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমিরের সভাপতিত্বে ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মি আহমেদের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপকমিটির সদস্য ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ।
আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. দীপু মনি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
ফারুক খান বর্ণনা করেন ২১ আগস্টের ভয়াল স্মৃতি। তুলে ধরেন কীভাবে তৎকালীন বিএনপি জামায়াত সরকার তদন্তকে ব্যাহত করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেছিল।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের ফাঁসির আদেশ না হওয়ায় তারা রায় নিয়ে খুশি হলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি।
শাম্মি আহমেদ দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে উপস্থিত কূটনীতিকদের সহায়তা কামনা করেন।