তার মতে, এ রকম একটি সমন্বিত মানসিকতা তৈরি করা গেলে শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় থাকার মতো এক টেকসই বিশ্ব গড়া যাবে।
রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে সোসাইটি ফর প্রমোশন অব বাংলাদেশ আর্ট (এসপিবিএ) আয়োজিত প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ১৮ শিল্পীর মোট ৭২টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। সপ্তাহব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা উভয় দেশের শিল্পীদের সৃজনশীলতার প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিল্পীরা তাদের প্রত্যেকটা কর্মের মাধ্যমে সারা বিশ্বে চিরঞ্জীব হয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক দেশের উন্নয়নের সাথে শিল্পী, শিল্পের বহিঃপ্রকাশ ও আবেদন সার্বজনীন। শিল্পীর প্রত্যেকটি কর্মের প্রভাব যে কত শক্তিশালী হতে পারে তা আমরা মোনালিসা দেখেই বুঝতে পারি।’
‘বাংলাদেশি ও শ্রীলঙ্কান শিল্পীদের ছবিতে একটা নিজস্বতা আছে, একটি বৈচিত্র্য আছে। আমরা আশা করব আগামীতে শিল্পের মাধ্যমে দুদেশের মানুষের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে,’ বলেন তিনি।
পরারাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্র নীতি অনুসারে আমরা মানুষে মানুষে সম্পর্ক বাড়তে চাই। এটা বাড়াতে পারলে আমাদের বিশ্বাস আমাদের মধ্যে যে অজ্ঞতা, একের প্রতি অন্যজনের যে হিংসা বিদ্বেষ, সেগুলো কমবে।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, চিত্রশিল্পী হাশেম খান ও শাহাবুদ্দিন আহমেদ, এসপিবিএ ও স্কয়ারের প্রধান অঞ্জন চৌধুরীসহ দুই দেশের বিশিষ্ট শিল্পী ও কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।